"টাইমস হাইয়ার এডুকেশন ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি র্যাং কিংস" এর সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী বিশ্বের সেরা বিশ্ববিদ্যালয়ের মর্যাদা অর্জন করেছে অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি। যৌথভাবে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে "ক্যালিফোর্নিয়া ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি এবং হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটি। বিশ্বের ৯৯ টা দেশের বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে তালিকাটি প্রকাশ করা হয়। মূলত পাঁচটি বিষয় বিবেচনায় নিয়ে র্যাং কিংটি প্রকাশ করা হয়। গবেষণা, শিক্ষা, গবেষণার ক্ষেত্রে প্রভাব ছাড়া শিল্পখাতের আয় এবং আন্তর্জাতিক পরিচিতির বিষয়টি বিবেচনায় নেয়া হয়েছে।
যুক্তরাজ্যের সবচেয়ে প্রভাবশালী বনেদী এই বিশ্ববিদ্যালয়টি টানা ৬ বারের মতো এবারও শীর্ষ স্থান দখলে রেখেছে। যুক্তরাজ্যের সবচেয়ে পুরাতন এবং বিশ্বের অন্যতম সেরা এই বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান শিক্ষার্থীর সংখ্যা প্রায় ২০ হাজারের কিছু বেশি।
বিশ্বের ১০০টি দেশেরও বেশি দেশের লোক এই বিশ্ববিদ্যালয়ের নানা প্রশাসনিক ও অন্যান্য কাজে নিয়োজিত এবং ৪০% শিক্ষার্থী ও শিক্ষক বিদেশি।
তর্কসাপেক্ষে বিশ্বের দ্বিতীয় পুরাতন এই বিশ্ববিদ্যালয়টির দখলে রয়েছে ২৮টিরও বেশি নোবেল পুরস্কার। অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি এতো বেশি বিখ্যাত লোকও জন্ম দিয়েছে যে এর তালিকা করলে তা দশ খণ্ড ছাড়িয়ে যাবে।
২.১) ক্যালিফোর্নিয়া ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি
ক্যালিফোর্নিয়া ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজির একটি অন্যতম অবাক করা বৈশিষ্ট্য হলো এর শিক্ষার্থী সংখ্যা অন্যান্য খ্যাতিমান বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সংখ্যার তুলনায় অনেক কম। আন্ডার গ্রাজুয়েটের জন্য ১০০০ শিক্ষার্থী ভর্তি করানো হয় এবং পোস্ট গ্রাজুয়েটের জন্য ১২৫০ শিক্ষার্থী ভর্তি নেয়া হয়।
এই বিশ্ববিদ্যালয়ে মূলত বিজ্ঞান ও গবেষণার প্রতি জোড় দেয়া হয় এবং তীব্র প্রতিযোগিতামূলক ভর্তি পরীক্ষা শেষে সবচেয়ে প্রতিভাবান শিক্ষার্থীদের ভর্তি নেয়া হয়। ১৮৯১ সালে "থ্রুপ ইউনিভার্সিটি" হিসেবে এই বিশ্ববিদ্যালয়টি যাত্রা শুরু করে এবং ১৯২০ সাল থেকে বর্তমান নামে পরিচিত হতে শুরু করে।
এই বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্ডার গ্রাজুয়েট লেভেলের শিক্ষার্থী গবেষণায় জড়িত এবং শিক্ষক-শিক্ষার্থীর অনুপাত ১:৩।
এই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এই পর্যন্ত ৬৪ জন নোবেল পুরস্কার অর্জন করে এবং বর্তমানে ৭ জন জীবিত নোবেল পুরস্কার বিজয়ী এই বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত।
১৬৩৬ সালে প্রতিষ্ঠিত এই বিশ্ববিদ্যালয়টি যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে পুরাতন বিশ্ববিদ্যালয়। এই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এই পর্যন্ত ৪৫ জন নোবেল পুরস্কার অর্জন করেছে এবং ৪৮ জন পুলিৎজার পুরস্কারপ্রাপ্ত।
৮ জন মার্কিন প্রেসিডেন্ট হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী ছিলেন। বারাক ওবামা, রদারফোর্ড হায়েস, জর্জ ডব্লিউ বুশ, জন এফ কেনেডি, ফ্রাংকলিন রুজভেল্ট, থিওডোর রুজভেল্ট, জন কুইন্সি এডামস এবং জন এডামস এই আটজন মার্কিন প্রেসিডেন্ট হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটি শিক্ষার্থী ছিলেন।
বিশ্বের সবচেয়ে বড় একাডেমিক লাইব্রেরি হার্ভার্ড লাইব্রেরি এবং একজন হার্ভার্ড গ্রাজুয়েটের বাৎসরিক স্যালারি ৬০ হাজার ডলারেরও বেশি।
স্ট্যানফোর্ড ইউনিভার্সিটি অসংখ্যা বিশ্বখ্যাত উদ্যাক্তার জন্ম দিয়েছে এবং বিশ্বখ্যাত সিলিকন ভ্যালি গড়ে তোলার পেছনে স্ট্যানফোর্ড ইউনিভার্সিটির বিশাল অবদান রয়েছে।
১৮৮৬ সালে প্রতিষ্ঠিত এই বিশ্ববিদ্যালয়টি এই অবধি ১৮ জন নোবেল পুরস্কার বিজয়ীর জন্ম দিয়েছে এবং বর্তমানে প্রায় ৩০ জন বিলিওনিয়ার স্ট্যানফোর্ড ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীর অনুপাত ১:৫।
১২০৯ সালে প্রতিষ্ঠিত এই বিশ্ববিদ্যালয়টি পৃথিবীর অন্যতম পুরাতন বিশ্ববিদ্যালয়। বিশ্বের চতুর্থ পুরাতন এই বিশ্ববিদ্যালয়টি যুক্তরাজ্যে অবস্থিত। প্রায় ৯২ জন নোবেক বিজয়ী এই প্রতিষ্ঠানের সাথে জড়িত।
প্রথম অফিসিয়াল ফুটবল ম্যাচ ক্যামব্রিজ ইউনিভার্সিটিতে অনুষ্ঠিত হয় এবং বিশ্বের সবচেয়ে বেশি নোবেল বিজয়ী এই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আগত।
৫) ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি
১৮৬১ সালে প্রতিষ্ঠিত এই বিশ্ববিদ্যালয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি গবেষণায় সমগ্র বিশ্বে। এমআইটি গ্রাজুয়েটেরা প্রতি বছর যে পরিমাণ অর্থ আয় করে তা বিশ্বের ১১তম বৃহৎ অর্থনৈতিক শক্তির সমান।
যুক্তরাষ্ট্রের গৃহযুদ্ধের কারণে এই বিখ্যাত প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষা কার্যক্রম শুরু হয় প্রতিষ্ঠার প্রায় ৪ বছর পর। ৯৫ জন নোবেল বিজয়ী এই প্রতিষ্ঠানের সাথে জড়িত ছিলেন।
Subscribe to our newsletter
Join our monthly newsletter and never miss out on new stories and promotions.