ফুটবল খেলেন বা দেখেন কিন্তু লিওনেল মেসির নাম অজানা এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া যাবে বলে মনে হয় না অথবা আপনি খেলেন ও না দেখেন ও না একজন ভক্ত ও না কিন্তু আপনি লিওনেল মেসির নাম আপনার জানা আছে। ফুটবল বিশ্বে যেমন দিয়েগো ম্যারাডোনা, পেলে তাদের নাম চিরকাল অমর হয়ে আছে যেমন ঠিক তেমনই লিওনেল মেসিকে ছাড়া বর্তমান বিশ্বের ফুটবল কল্পনা করা কষ্টকর। লিওনেল মেসি নামটি একটা বিশাল ব্র্যান্ড যা ফুটবল প্রেমিদের নিকট এক ভালোবাসার নাম। আর্জেন্টিনার সেই ছোট লিওনেল মেসি যে আজকের ফুটবল বিশ্বের সবচেয়ে বড় নামে পরিণত হবে সেটা কে ই বা জানতো। ন্যাচারাল গেম প্লে আর নিখুদ পায়ের জাদু আজ লিওনেল মেসিকে এত বড় উচ্চতা দিয়েছে। লিওনেল মেসি সম্পর্কে কিছু বলতে গেলে তা দুই এক পর্বে শেষ করা যাবে না, তাই দি বাংলা রিডার ধারাবাহিক ভাবে লিওনেল মেসির অসামান্য অবদান গুলো এবং তার ক্যারিয়ার নিয়ে আলোচনা করবে। তো আপনি প্রস্তুত হয়ে যান লিওনেল মেসিকে নিয়ে এখন পর্যন্ত বিস্তারিত জানতে এবং কন্টেন্ট টি অবশ্যই আপনার বন্ধু-বান্ধব দের সাথে শেয়ার করুন। পর্ব – ১
লিওনেল আন্দ্রেস “লিও” মেসির জন্ম - ২৪ জুন ১৯৮৭, একজন আর্জেন্টাইন পেশাদার ফুটবল খেলোয়াড় যিনি ফরাসী পেশাদার লীগের শীর্ষস্তর লীগ ১ এর ক্লাব পারিস সেইন্ট জার্মেইন এবং আর্জেন্টিনার জাতীয় ফুটবল দলের হয়ে আক্রমণভাগের খেলোয়াড় হিসেবে খেলেন। মেসি বর্তমানে আর্জেন্টিনা জাতীয় দলের অধিনায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। ৫ই আগস্ট, ২০২১ তারিখে বার্সেলোনা ঘোষণা করে যে লিওনেল মেসি ক্লাবের সাথে চুক্তি নবায়ন করবেন না, ক্লাবটি মেসির চলে যাওয়ার কারণ হিসাবে স্প্যানিশ লিগার নিয়মকানুন দ্বারা সৃষ্ট আর্থিক এবং কাঠামোগত বাধার কথা উল্লেখ করেছিলেন। যদিও মেসি বার্সেলোনাকে সর্বদাই নিজের ঘর মনে করেন এবং তার ভাষ্যমতে বার্সেলোনাই তার আপন ঘর ছিলো এবং থাকবে। মেসি বিশ্বের সেরা খেলোয়াড় হিসাবে বিবেচিত এবং সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ খেলোয়াড়দের মধ্যে একজন।
লিও মেসি টানা চারবারসহ মোট ছয়বার ব্যালন ডি'অর জয়ের কৃতিত্ব অর্জন করেছেন, যা ফুটবলের ইতিহাসে সর্বোচ্চ। এর পাশাপাশি তিনি সর্বোচ্চ ছয়বার ইউরোপীয় সোনালী জুতো (গোল্ডেন বুট) জয়েরও কৃতিত্ব অর্জন করেছেন। তাঁর পেশাদার ফুটবল জীবনের পুরোটাই কেটেছে বার্সেলোনায়, যেখানে তিনি ১০ টি লা লিগা, ৪ টি উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লীগ এবং ৬ টি কোপা দেল রে সহ মোট ৩৩ টি শিরোপা জয় করেছেন, যা বার্সেলোনার ইতিহাসে কোন একক খেলোয়াড়ের পক্ষে সর্বোচ্চ। এছাড়াও একজন অসাধারণ গোলদাতা হিসেবে মেসির দখলে রয়েছে লা লিগায় সর্বোচ্চ সংখ্যক গোল (৪৪০), লা লিগা ও ইউরোপের যেকোনো লীগে এক মৌসুমে সর্বোচ্চ গোল (৫০), ইউরোপে এক মৌসুমে সর্বোচ্চ গোল (৭৩), এক পঞ্জিকাবর্ষে সর্বোচ্চ গোল (৯১), এল ক্লাসিকোর ইতিহাসে সর্বোচ্চ গোল (২৬) এবং লা লিগা (৩৪) ও চ্যাম্পিয়নস লীগে (৮) সর্বোচ্চ হ্যাট্রিকের কৃতিত্ব। পাশাপাশি মেসি একজন সৃষ্টিশীল প্লেমেকার হিসেবেও পরিচিত। তিনি লা লিগা (১৮৩) এবং কোপা আমেরিকায় (১২) ইতিহাসে সর্বোচ্চ গোলে সহায়তাকারীর কৃতিত্বেরও মালিক। জাতীয় দল এবং ক্লাবের হয়ে তিনি ৭০০ এর অধিক পেশাদার গোল করেছেন।
মধ্য আর্জেন্টিনায় জন্ম এবং বেড়ে ওঠা লিও মেসি ছোট বেলায় গ্রোথ হরমোন সংক্রান্ত জটিল রোগে আক্রান্ত হন। সেসময় আর্জেন্টিনার কোন ক্লাবের পক্ষে তাঁর চিকিৎসা খরচ বহন করা সম্ভব ছিল না। কিন্তু বার্সেলোনা তাঁর চিকিৎসার খরচ বহনের দায়িত্ব নেয়ায় ১৩ বছর বয়সে তিনি তাদের সাথে চুক্তিবদ্ধ হন এবং স্পেনে পাড়ি জমান। বার্সেলোনার যুব প্রকল্পে তিনি নিজের প্রতিভার প্রমাণ দেখাতে শুরু করেন এবং ২০০৪ সালের অক্টোবরে ১৭ বছর বয়সে বার্সেলোনার মূল দলে তাঁর অভিষেক হয়। পেশাদার ফুটবল জীবনের শুরুতে ইনজুরি-প্রবণ হলেও, ২০০৭ সাল নাগাদ তিনি নিজেকে দলের অবিচ্ছেদ্য অংশে পরিণত করেন। তিনি ২০০৭ সালের বালন দর পুরস্কারে তৃতীয় (সে বছর বালন দর জিতেছিলেন ব্রাজিলিয়ান কিংবদন্তী কাকা) ও ফিফা বর্ষসেরা পুরস্কারে দ্বিতীয় স্থান অর্জন করেন। পরবর্তী বছর তিনি উভয় পুরস্কারে দ্বিতীয় স্থান অর্জন করেন এবং এর পরের বছর তিনি প্রথমবারের মত উভয় পুরস্কার জয় করেন। ২০০৮-০৯ মৌসুমে তিনি বার্সেলোনার মূল দলের একজন নিয়মিত খেলোয়াড়ে পরিণত হন। সে মৌসুমেই তিনি বার্সেলোনাকে প্রথমবারের মত এবং প্রথম স্পেনীয় ক্লাব হিসেবে ট্রেবল জয়ে সাহায্য করেন।
মেসির সেরা মৌসুম নিয়ে বিতর্ক থাকলেও পরিসংখ্যানগত দিক দিয়ে তাঁর সেরা মৌসুম ছিল ২০১১-১২। সেই মৌসুমে তিনি লা লিগা এবং ইউরোপীয় ফুটবলের ইতিহাসে এক মৌসুমে সর্বোচ্চ সংখ্যক গোল করার কৃতিত্ব অর্জন করেন এবং বার্সেলোনার ইতিহাসের সর্বোচ্চ গোলদাতা হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেন। তাঁর প্রতিভার আরেকটি ঝলক দেখা যায় ২০১৪-১৫ মৌসুমে, যখন তিনি লা লিগা ও উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লীগের ইতিহাসের সর্বোচ্চ গোলদাতার কৃতিত্ব অর্জন করেন এবং বার্সেলোনাকে ঐতিহাসিক দ্বিতীয় ট্রেবল জয়ে সাহায্য করেন। ২০১৮ সালের আগস্টে মেসি বার্সেলোনার অধিনায়ক হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন।
মেসি আর্জেন্টিনার ফুটবল ইতিহাসের সর্বোচ্চ গোলদাতা। বয়সভিত্তিক পর্যায়ে তিনি আর্জেনটিনাকে ২০০৫ ফিফা ইয়ুথ চ্যাম্পিয়নশিপ জেতাতে সাহায্য করেন যে প্রতিযোগিতায় তিনি সর্বোচ্চ গোলদাতা এবং সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার অর্জন করেন। এছাড়া তিনি ২০০৮ গ্রীষ্মকালীন অলিম্পিকে আর্জেন্টিনার হয়ে ফুটবলে স্বর্ণপদক জয় করেন। ২০০৫ সালের আগস্টে আর্জেন্টিনা জাতীয় দল এ মেসির অভিষেক হয়। ২০০৬ ফিফা বিশ্বকাপ এ গোল করার মধ্য দিয়ে তিনি সর্বকনিষ্ঠ আর্জেন্টাইন হিসেবে বিশ্বকাপে গোল করার কৃতিত্ব অর্জন করেন। ২০০৭ কোপা আমেরিকায় তিনি সেরা যুব খেলোয়াড়ের পুরস্কার অর্জন করেন। ওই আসরে আর্জেন্টিনা দ্বিতীয় স্থান অর্জন করেছিলো। ২০১১ সালের আগস্টে তিনি আর্জেন্টিনা দলের অধিনায়কে হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। অধিনায়ক হিসেবে তিনি আর্জেন্টিনার হয়ে টানা তিনটি প্রতিযোগিতার ফাইনাল খেলেছেন: ২০১৪ ফিফা বিশ্বকাপ, ২০১৫ কোপা আমেরিকা এবং ২০১৬ কোপা আমেরিকা। তিনি ২০১৪ বিশ্বকাপে গোল্ডেন বল পুরস্কার জয় করেন। ২০১৮ সালে মেসি জাতীয় দল থেকে অবসরের ঘোষণা দেন, তবে কয়েক মাস পরেই তিনি তাঁর সিদ্ধান্ত বদলে পুনরায় জাতীয় দলে ফিরে আসেন এবং ২০১৮ বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের একটি গুরুত্বপূর্ণ খেলায় তিন গোল করে বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনার অংশগ্রহণ নিশ্চিত করেন। ২০১৮ বিশ্বকাপ ও ২০১৯ কোপা আমেরিকায় তিনি দলকে নেতৃত্ব দেন। ২০২১ কোপা আমেরিকায় আর্জেন্টিনা তার নেতৃত্বে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করে।
মেসি আর্জেন্টিনার রোজারিওতে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা জর্জ মেসি ইস্পাতের কারখানায় কাজ করতেন এবং মা সেলিয়া মারিয়া কুচ্চিত্তিনি ছিলেন একজন খণ্ডকালীন পরিচ্ছন্নতা কর্মী। তার পৈতৃক পরিবারের আদি নিবাস ছিল ইতালির আকোনা শহরে। তার পূর্বপুরুষদের একজন অ্যাঞ্জেলো মেসি ১৮৮৩ খ্রিষ্টাব্দে সেখান থেকে আর্জেন্টিনায় চলে আসেন। মেসির বড় দুই ভাই এবং এক ছোট বোন রয়েছে। বড় দুই ভাইয়ের নাম রদ্রিগো ও মাতিয়াস এবং ছোট বোনের নাম মারিয়া সল। পাঁচ বছর বয়সে মেসি স্থানীয় ক্লাব গ্রান্দোলির হয়ে ফুটবল খেলা শুরু করেন, যার কোচ ছিলেন তার বাবা জর্জ। ১৯৯৫ খ্রিষ্টাব্দে মেসি রোজারিও ভিত্তিক ক্লাব নিওয়েল'স ওল্ড বয়েজে যোগ দেন। তিনি স্থানীয় যুব পরাশক্তির অংশ হয়ে পড়েন, যারা পরবর্তী চার বছরে একটি মাত্র খেলায় পরাজিত হয়েছিল এবং স্থানীয়ভাবে “দ্য মেশিন অফ ‘৮৭” (The machine of '87) নামে পরিচিত হয়ে উঠেছিল। তাদেরকে এই নামে অভিহিত করার কারণ তাদের জন্ম সাল ছিল ১৯৮৭।
১১ বছর বয়সে মেসির গ্রোথ হরমোনের (growth hormone) সমস্যা ধরা পড়ে। স্থানীয় ক্লাব রিভার প্লেট মেসির প্রতি তাদের আগ্রহ দেখালেও সেসময় তারা মেসির চিকিৎসা খরচ বহন করতে অপারগ ছিল। এ চিকিৎসার জন্যে প্রতিমাসে প্রয়োজন ছিল ৯০০ মার্কিন ডলার। বার্সেলোনার তৎকালীন ক্রীড়া পরিচালক কার্লেস রেক্সাস মেসির প্রতিভা সম্পর্কে জানতে পারেন। তিনি মেসির খেলা দেখে মুগ্ধ হন। হাতের কাছে কোন কাগজ না পেয়ে একটি ন্যাপকিন পেপারে তিনি মেসির বাবার সাথে চুক্তি সাক্ষর করেন। বার্সেলোনা মেসির চিকিত্সার সমস্ত ব্যয়ভার বহন করতে রাজি হয়। এরপর মেসি এবং তার বাবা বার্সেলোনায় পাড়ি জমান। সেখানে মেসিকে বার্সেলোনার যুব একাডেমি লা মাসিয়া'র অংশ করে নেয়া হয়।
২০০৮ সাল থেকে মেসি আন্তনেলা রোকুজ্জোর সাথে বসবাস শুরু করেন। তাদের দুটি পুত্রসন্তানের জন্ম হয়, ২ নভেম্বর ২০১২ তারিখে থিয়াগো আর ১১ সেপ্টেম্বর ২০১৫ তে জন্ম নেয় মাতেও। ২০১৭ সালের ১ জুলাই মহা ধুমধামে তাদের বিবাহ হয়।
মেসি ২০০০ থেকে ২০০৩ সাল পর্যন্ত বার্সেলোনার যুব একাডেমির ইনফান্তিল বি, কাদেতে বি এবং কাদেতে এ দলে খেলেছেন। কাদেতে এ দলে খেলার সময় তিনি ৩০ খেলায় ৩৭ গোল করেন। ২০০৩ সালে অর্থনৈতিক সীমাবদ্ধতার কারণে তাকে ক্লাব থেকে প্রায় ছেড়েই দেওয়া হয়েছিল, কিন্তু যুব দলের প্রশিক্ষণকর্মীদের জোরাজুরিতে ক্লাবের ব্যবস্থাপনা পরিষদ তাকে দলে রেখে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় (সেসময় সেস্ ফ্যাব্রিগাসকে ছেড়ে দেওয়া হয়)। ২০০৩–০৪ মৌসুমে মেসি পাঁচটি আলাদা দলে খেলেন, যা একটি রেকর্ড। তিনি হুভেনিল বি দলে খেলে ১টি গোল করেন এবং হুভেনিল এ দলে খেলার সুযোগ লাভ করেন। সেখানে তিনি ১৪ খেলায় ২১টি গোল করেন। ২০০৩ সালের ২৯ নভেম্বর, বার্সেলোনা সি (তের্সেরা দিভিসিওন) দলে এবং ২০০৪ সালের ৬ মার্চ, বার্সেলোনা বি (সেগুন্দা দিভিসিওন) দলে তার অভিষেক হয়। ঐ মৌসুমে তিনি উভয় দলের হয়েই খেলেন এবং সি দলের হয়ে তার গোল সংখ্যা ছিল ১০ খেলায় ৫ এবং বি দলের হয়ে ৫ খেলায় শূন্য। এই দুই দলে অভিষেকের পূর্বে মেসির মূল দলে অভিষেক হয়েছিল ২০০৩ সালের ১৬ নভেম্বর, পোর্তোর বিপক্ষে একটি প্রীতি ম্যাচে (১৬ বছর এবং ১৪৫ দিন বয়সে)।
২০০৪ সালের ১৬ অক্টোবর, এস্পানিওলের বিপক্ষে বার্সেলোনার তৃতীয় কনিষ্ঠতম খেলোয়াড় হিসেবে মেসির লা লিগায় অভিষেক হয় (১৭ বছর এবং ১১৪ দিন বয়সে)। অবশ্য, ২০০৭ সালের সেপ্টেম্বরে, বোয়ান কিরকিচ এই স্থান দখল করেন। ২০০৫ সালের ১ মে, আলবাসেতে বালোম্পাইয়ের বিপক্ষে বার্সেলোনার সর্বকনিষ্ঠ খেলোয়াড় হিসেবে লা লিগায় গোল করার রেকর্ড গড়েন মেসি (১৭ বছর ১০ মাস এবং ৭ দিন বয়সে)। তার এই রেকর্ডও বোয়ান কিরকিচ ভেঙে ফেলেন ২০০৭ সালে। বোয়ান ঐ গোলটি মেসির পাস থেকেই করেছিলেন। মেসি তার প্রাক্তন কোচ ফ্রাংক রাইকার্ড সম্পর্কে বলেন: ‘‘আমি কখনও ভুলবনা যে তিনি আমার ক্যারিয়ার শুরু করিয়েছিলেন, মাত্র ১৬ বা ১৭ বছর বয়সে আমার প্রতি তার আস্থা ছিল।’’ ঐ মৌসুমে মেসি বার্সেলোনা বি দলের হয়েও খেলেন এবং ১৭ ম্যাচে ৬ গোল করেন।
আজ এই পর্যন্তই, আগামী পর্বে আমরা লিও মেসির ক্যারিয়ার যাত্রার প্রারম্ভিক বিষয় গুলো নিয়ে আলোচনা করবো। লিও মেসির প্রতিটি মৌসুমের হিসেব নিকেশ উপস্থাপন করবো। সেই ২০০৫-২০০৬ থেকে তার বিশাল সূচনা এবং ফুটবল সুপারস্টার হয়ে ওঠার পেছনের গল্প জানতে আগামী পর্ব গুলোতে অবশ্যই চোখ রাখতে হবে।
রিলেটেড পোস্ট / আরো পড়ুন
Subscribe to our newsletter
Join our monthly newsletter and never miss out on new stories and promotions.