আজ - ২৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, মঙ্গলবার, ডিসেম্বর ১০, ২০২৪ ১০:৪৯:৫২

বিশ্ব সভ্যতায় মুসলমানদের অনন্য অবদান (পর্ব - ২) | The Unique Contribution of Muslims to World Civilization (Part 2)

তামান্না ইসলাম
- শিক্ষার্থী,আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
02 Dec, 2021
The Bangla Reader

ইসলাম শান্তির ধর্ম। ইসলাম শুধু একটি ধর্ম নয় এটি একটি জীবন ব্যবস্থাও বটে। ইসলাম পৃথিবীতে শান্তির বাণী নিয়ে এসেছিল হযরত মোহাম্মদ সাঃ এর উপর পবিত্র কুরআন শরীফ নাযিলের মাধ্যমে। ইসলাম মুসলিমদের জ্ঞান অর্জনের তাগিদ দিয়েছে। বিজ্ঞান, গণিত, ভূগোল, পদার্থবিদ্যা, জীববিজ্ঞান এবং রসায়নে ইসলামের অবদান অনেক। ইসলামের ইতিহাসে নবম থেকে ত্রয়োদশ শতাব্দী ছিল বিজ্ঞান, ধর্মদর্শন এবং সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে এগিয়ে যাওয়ার এক অনন্য সময়। এই কয়েক শতাব্দীতে মুসলিমরা জ্ঞান-বিজ্ঞানে যে অভূতপূর্ব উন্নতি লাভ করেছে তা মানব ইতিহাসে নজিরবিহীন। আরব উপদ্বীপের শুষ্ক এবং উত্তপ্ত মরুভূমিতে জন্ম নিয়ে সুদূর স্পেন থেকে শুরু করে ভারতবর্ষ পর্যন্ত বিকশিত হওয়ায় ইসলামি সভ্যতা তখন অসংখ্য বৈচিত্র্যময় সংস্কৃতি, ধর্ম এবং বুদ্ধিবৃত্তিক ঐতিহ্যের ধারকে পরিণত হয়। পূর্ববর্তী সভ্যতাগুলোর অবদানগুলোকে একত্রিত করে এবং সেই তথ্যগুলোর উপর নির্ভর করে বিজ্ঞানচর্চার এক নতুন দিগন্তের সূচনা হয়। মুসলিম সাম্রাজ্যে তখন অসংখ্য জ্ঞানী মানুষের মিলনমেলা। ততদিনে মুসলিমদের মধ্যে বড় মানের জ্ঞানসাধকের আত্নপ্রকাশ ঘটেছে। এই জ্ঞানী মানুষগুলোর অবদানের ওপর নির্ভর করেই মুসলিম সভ্যতা পরিণত হয় প্রাচীন সভ্যতা এবং রেনেসাপ্রভাবিত ইউরোপীয় সংযোগস্থলে। মুসলিমরা সেইসময়ে যে কাজগুলো করেছে তার ওপর নির্ভর করে আধুনিক বিজ্ঞানের ভিত্তি রচিত হয়েছে। আব্বাসীয় খিলাফাতের সময় রাজধানী ছিল বাগদাদ, যেখানে নানা ভাষা ও সংস্কৃতির মানুষ বসবাস করতো। নানা ধারার লোকজনকে একসাথে পাওয়ায় বাগদাদও পুরোনো সব সভ্যতার অনেক তথ্য ও ঐতিহ্য পেতে শুরু করে। সপ্তম আব্বাসীয় খলিফা আল মামুন জ্ঞানের অপরিহার্যতার কথা বিবেচনায় নিয়ে বাগদাদে একটি গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গড়ে তোলেন যা "বায়তুল হিকমাহ" নামে পরিচিত। এই শিক্ষাকেন্দ্রের আওতায় একই জায়গায় বিশ্ববিদ্যালয়, পাঠাগার, অনুবাদকেন্দ্র এবং গবেষণাগার স্থাপন করা হয়। উমাইয়া শাসনামলে কিছু ছোটখাটো পাঠাগার ও স্কুলের প্রচলন ছিল কিন্তু আব্বাসীয় শাসনামলে জ্ঞান অর্জনের ওপর যে পরিমাণ গুরুত্ব আরোপ করা হয় তা ইসলামের ইতিহাসে বিরল। ফলে মানব ইতিহাসে প্রথমবারের মতো পারস্য, মিশর, ভারতবর্ষ ও বাইজেন্টাইন সাম্রাজ্য থেকে সেরা পন্ডিতরা একত্রিত হয়েছিলেন। ইসলামই একমাত্র জ্ঞান অর্জনের প্রতি এত গুরুত্ব দিয়েছে যা ইবাদাতের পর্যায়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। মুসলিম বিজ্ঞানীরা এমন মানসিকতা লালন করতেন, তারা আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য বৈজ্ঞানিক গবেষণা ও নিত্যনতুন আবিষ্কার করেছেন। এভাবেই জ্ঞানের রাজ্যে মুসলিমদের সোনালি যুগের সূচনা হয়।



বিশ্ব সভ্যতায় মুসলমানদের অনন্য অবদান, প্রথম পর্ব পড়তে এখানে ক্লিক করুন। প্রথম পর্বের পর দ্বিতীয় পর্ব-

সাহিত্যে অবদানঃ 

ফারসি সাহিত্যকে পৃথিবীর অন্যতম বিখ্যাত সাহিত্য হিসেবে গণ্য করা হয়। ফারসি সাহিত্য মুসলমানদের মাধ্যমেই সমৃদ্ধ হয়েছে। ইরানে ইসলামের প্রবেশ ফারসি সাহিত্যের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। ইরানে ইসলামের প্রবেশের শুরুর দিকে (সপ্তম খ্রিস্টাব্দ-একাদশ খ্রিস্টাব্দ) পর্যন্ত প্রাচীন ইরানের বিখ্যাত জ্ঞান-বিজ্ঞান, সাহিত্য ও ইতিহাসের বইগুলো আরবি ভাষায় অনূদিত হয়। কিন্তু সাফফারিয়ান যুগে ‘ফারসি দারি’ ভাষার প্রতি দৃষ্টিপাত করা হয়। ফলে এ ভাষা সরকারি এবং সাহিত্যের ভাষা হিসেবে ব্যবহার করা হয়। এই যুগের কবিতার নিদর্শন থেকে ইয়াকুব লাইস সাফফারের প্রশংসায় মুহাম্মাদ ইবনে ওসিফ কর্তৃক রচিত একটা কাসিদার সন্ধান পাওয়া যায়। গবেষকরা এই কাসিদাকে প্রথম ফারসি কবিতা হিসেবে উল্লেখ করেছেন। ফারসি সাহিত্যের নিদর্শনগুলো- ফেরদৌসীর ‘শাহনামা’, রুমির ‘মসনভি’, সাদির ‘গুলিস্তাঁ’ ও ‘বুস্তাঁ, খৈয়ামের ‘রুবাঈ’, হাফিযের ‘দিওয়ান’, আত্তারের ‘মানতেকুত তায়ের’, নেজামির ‘খসরু ও শিরীন’, জামির ‘বাহারিস্তান’ আজও পৃথিবীজুড়ে বিখ্যাত।



আইনের ক্ষেত্রেঃ

মুসলমানদের গুরুত্বপূর্ণ আরেকটি অবদান রয়েছে তুলনামূলক কেইস ল-এর ক্ষেত্রে। ইসলামি আইনের ব্যাখ্যা, বিশ্লেষণ ও প্রয়োগ পদ্ধতিকে কেন্দ্র করে মুসলমানদের মধ্যে মতপার্থক্য দেখা দেয়। বিশেষ কোনো আইনের ব্যাপারে কেন এ মতপার্থক্য দেখা দেয় অথবা এজাতীয় মতপার্থক্যের ফলাফল কী হতে পারে তা নির্ধারণ করা জরুরি হয়ে পড়ে। এখান থেকেই তুলনামূলক কেইস ল-এর উদ্ভব ঘটে। এ বিষয়ের ওপর দাবসি এবং ইবনে রুশদ রচিত পুস্তকগুলো পথিকৃতের ভূমিকা পালন করেছে। সাইমুরি তুলনামূলক আইনবিজ্ঞান বা আইনপদ্ধতির ওপর পুস্তক রচনা করেন। আরবি পরিভাষায় এ জাতীয় পুস্তককে বলা হয় উসুলে ফিকহ। মুসলমানেরাই সর্বপ্রথম রাষ্ট্রের জন্য লিখিত সংবিধান প্রণয়ন করেন। বস্তুতপক্ষে নবী করিম সা: ছিলেন এ সংবিধানের রচয়িতা। তিনি যখন মদিনায় নগররাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করেন, তখন এ সংবিধানটি প্রণয়ন করেন। ঐতিহাসিক ইবনে হিশাম এবং আবু উবায়েদের বর্ণনার মধ্য দিয়ে এটা আমাদের হাতে পৌঁছেছে। রাষ্ট্রীয় প্রশাসন, আইন প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন, বিচারব্যবস্থা প্রতিরক্ষা প্রভৃতি সব বিষয় সংবিধানে সন্নিবেশিত হয়েছে। রাষ্ট্রনায়ক তথা জনগণের দায়িত্ব ও কর্তব্য সম্পর্কে উল্লেখ করা হয়েছে স্পষ্টভাবে। ৫২টি ধারা সংবলিত এ সংবিধানটি প্রণয়ন করা হয় ৬২২ খ্রিষ্টাব্দে। এখানে ইসলামি আইনকে প্রধানত তিনটি পর্যায়ে বিভক্ত করা যায়। ক. ধর্মীয় আচার আচরণ, খ. যাবতীয় চুক্তি সম্পর্কিত বিষয়, গ. শাস্তি সম্পর্কিত বিষয়াদি।



ভূগোলের ক্ষেত্রে অবদানঃ 

ভূগোলশাস্ত্র জ্ঞান-বিজ্ঞান ও শিক্ষা-সভ্যতার একটি গুরুত্বপূর্ণ শাখা। পবিত্র হজ পালন, নামাযের জন্য দিক নির্ধারণ, বিশাল মুসলিম অধ্যুষিত এলাকায় যোগাযোগ স্থাপন, অক্ষাংশ ও দ্রাঘিমাংশ নির্ণয়, বিভিন্ন দেশের বাণিজ্যিক পথ ও বাজারের সন্ধানে এবং ভারতীয় ও গ্রীকদের প্রভাবে মুসলিম পণ্ডিতগণ ভূগোলচর্চায় মনোনিবেশ করেন। মুহাম্মাদ মূসা আল-খাওয়ারিযমী রচিত ‘কিতাব আল-খাওয়ারিযমী’ গ্রন্থটি আরবি ভাষায় ভূ-বিজ্ঞানের ভিত্তি প্রতিষ্ঠা করে। এ সময়ে রচিত ভৌগোলিক তথ্য সম্বলিত গ্রন্থসমূহ মুসলমানদের প্রথম স্বাধীন ও স্বতন্ত্র আরবি ভূগোল গ্রন্থ। এসব গ্রন্থের মধ্যে বিখ্যাত ভূগোলবিদ ইবনে খুরদাদবিহ রচিত ‘আল মাসালিক ওয়াল মামালিক’, কুদামার রচিত ‘কিতাব আল-খারাজ’, ইয়াকুবীর ‘কিতাব আল-বুলদান, ইবনে রুস্তাহর ‘আল-আ’লাক আন-নাফীসাহ’, ইসতাখবী রচিত ‘আল মাসালিক ওয়াল মামালিক’ এবং মুকাদ্দিসীর ‘আহসান-আত-তাকাসিম ফি মারিফাত আল-আকালিম’ প্রভৃতি উল্লেখযোগ্য। বিখ্যাত পরিব্রাজক ‘নাসির-ই-খসরু’ এবং ইবনে জুবাইর তাঁদের ভ্রমণবৃত্তান্তে মুসলিম বিশ্বের অনেক এলাকার চিত্তাকর্ষক বর্ণনা তুলে ধরেছেন। এছাড়াও আরেকজন বিখ্যাত পরিব্রাজক ‘ইবনে বতুতা’ তাঁর ‘রেহালাত’ গ্রন্থে দেশ-বিদেশের অনেক তথ্যসমৃদ্ধ ও মনোজ্ঞ বিবরণ দিয়ে ইতিহাসে বর্ণনামূলক ভূগোলবিদ হিসাবে স্মরণীয় হয়ে আছেন। উপরোল্লেখিত খ্যাতিমান ভূ-বিশারদ ও ভূগোলবিদ ছাড়াও অসংখ্য ভূগোল বিশেষজ্ঞ ছিলেন যাঁরা নিজ নিজ অভিজ্ঞতা ও গবেষণা দ্বারা মূল্যবান ভূগোলবিষয়ক গ্রন্থ রচনা করেছেন।



চিকিৎসাশাস্ত্রঃ 

মুসলিম বিশ্বে চিকিৎসাশাস্ত্রের একটি ঐতিহ্য রয়েছে যার প্রাথমিক ভিত্তি ছিল প্রাচীন গ্রিক সভ্যতা থেকে পাওয়া তথ্য এবং পাশাপাশি গবেষণালব্ধ জ্ঞান। বিশ্বের অনেক জায়গাতেই চিকিৎসাশাস্ত্র প্রসঙ্গে মুসলিম সোনালি যুগের অসাধারণ সব চিকিৎসাবিদদের লেখা পাওয়া যায় যা এই বিষয়গুলো সম্পর্কে তাদের দক্ষতাই প্রমাণ করে। মুসলিমদের সেই যুগে চিকিৎসাশাস্ত্রে অনেক অগ্রগতি হয়েছিল। মুসলিম চিকিৎসাবিদদের সে অবদানগুলোর ওপর ভিত্তি করে আধুনিক চিকিৎসাবিজ্ঞান আজকের এই পর্যায়ে পৌঁছেছে। প্রাচীনযুগে গ্যালনকে চিকিৎসাশাস্ত্রের জনক বলা হতো। গ্যালেন যে তত্ত্ব দিয়েছিলেন তা প্রথমবারের মতো চ্যালেঞ্জ করেন নবম শতকের মুসলিম চিকিৎসাবিদ আল রাজি। তিনি দ্যা ভারচুয়াস লাইফ নামক মেডিকেল এনসাইক্লোপিডিয়া রচনা করেন। সে গ্রন্থে চিকিৎসাশাস্ত্রের উন্নয়নে সব সময় চলমান উন্নয়ন ও প্রশিক্ষণের ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন। ইবনে সিনা চিকিৎসাবিজ্ঞানে একটি পরিচিত নাম। ইবনে সিনা বিশ্ব ইতিহাসের প্রথম চিকিৎসাবিজ্ঞানী যিনি নিরীক্ষামূলক ঔষধ আবিস্কার করেন। তার বিখ্যাত গ্রন্থ আল কানুন তিনি পরিস্থিতি বিবেচনা করে ওষুধ প্রয়োগ করার কথা বলেছেন। এই বইটি এত জনপ্রিয় হওয়ার কারণ হচ্ছে এখানে শুধু রোগের উপসর্গ ও প্রতিকার নিয়ে কথা বলা হয়নি ;বরং এটা  একটি চিকিৎসাবিজ্ঞানের পূর্ণাঙ্গ এনসাইক্লোপিডিয়া। এই বইটিতে অ্যানেসথিশিয়া, স্তন ক্যান্সার, জলাতঙ্ক, বিষক্রিয়া, আলসার, কিডনির নানা রোগ এবং যক্ষার বিস্তারিত বর্ণনা ছিল। নবম শতকের  শুরুতে বাগদাদে প্রথম হাসপাতাল নির্মাণ করা হয়। দশম থেকে চতুর্দশ শতাব্দী পর্যন্ত সময়ে গোটা মুসলিম বিশ্বের সব শহরেই বিশেষত কায়রো, দামেস্ক, মক্কা, মদিনা, গ্রানাডা এবং আইবেরিয়াতেও হাসপাতাল নির্মাণ করা হয়। অটোমানদের  কাছ থেকে ধারণা নিয়ে ইউরোপের বিভিন্ন স্থানে হাসপাতাল নির্মাণ শুরু করা হয়।



পর্দাথবিদ্যাঃ

জ্ঞান-বিজ্ঞানের অন্যান্য শাখার ন্যায় মুসলমানরা পর্দাথবিদ্যায় ব্যাপক অবদান রেখেছেন। পর্দাথবিজ্ঞানে যেসব মনীষী অসামান্য অবদান রেখেছেন তাদের মধ্যে ইবনে রুশদ, আলবেরুনী, আল-খারেজমী, ইবনুল হাইসাম প্রমুখ উল্লেখযোগ্য। পর্দাথবিজ্ঞানের উল্লেখযোগ্য গ্রন্থের মধ্যে রয়েছে তামহিদুল মুসতাকাররে লিমানিল মামারবে, কিতাবুল মানায়িব, রিসালাতু ফিশাশফক প্রভৃতি।



উদ্ভিদবিদ্যাঃ

উদ্ভিদবিদ্যায় মুসলমানদের অবদান অপরিসীম। উদ্ভিদবিদদের মধ্যে ইবনে বাতরের নাম উল্লেখযোগ্য। লতাপাতা সম্পর্কিত তাঁর তথ্যবহুল গ্রন্থটি আজও সকলের কাছে বিশেষ গুরুত্ব বহন করে। তাছাড়া মুসলমানরা ভূতত্ত্ব ও প্রাণিতত্ত্বে উন্নতি সাধন করেছিলেন। মুসলমানদের বিভিন্ন আবিষ্কার, গবেষণাকর্ম ও সূত্রের সাহায্যে বিজ্ঞানকে করেছে সমৃদ্ধশালী। বিজ্ঞানে মুসলমানদের অবদান বর্ণনাতীত। যদিও মুসলমানদের কৃতিত্বের অনেক কিছুই ষড়যন্ত্রমূলকভাবে বাদ পড়েছে। কিন্তু একথা সবাইকে স্বীকার করতে হবে যে মুসলমানরা আধুনিক বিজ্ঞানের সফল পথিকৃৎ।

মুসলমান দের এই অবদান গুলো সারা পৃথিবীর সভ্যতার সূচক ও বাহক হিসেবে পরিগণিত হয়। আধুনিক বিশ্ব বিনির্মাণে মুসলমানদের অবদান এত সহজেই শেষ করা যায় না, আগামী পর্বে মুসলমানদের সাহিত্যে অবদান, আইনের ক্ষেত্রে অবদান, ভূগোল ক্ষেত্রে অবদান, চিকিৎসাশাস্ত্র, পর্দাথবিদ্যা, উদ্ভিদবিদ্যায় অবদান ইত্যাদি আরো নানান অবদান গুলোর সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে অবশ্যই ওয়েবসাইটে চোখ রাখুন।


আপনি ও আপনার মতামত আমাদের সাথে শেয়ার করতে পাড়েন, আপনার যে কোন লিখা বা অনুরোধ বা উপহার আমাদের নিকট পৌছাতে মেইল করুন – contact@thebagnareader.com এই ঠিকানায় অথবা আমাদের ফেইসবুক পেজে fb.com/thebanglareader  মেসেজ এর মাধ্যমে যোগাযোগ করুন



রিলেটেড পোস্ট / আরো পড়ুন

Subscribe to our newsletter

Join our monthly newsletter and never miss out on new stories and promotions.